মোঃ মুক্তাদির হোসেন। স্টাফ রিপোর্টারঃ
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৪ ও ২৫ নংসেক্টরে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ৪৪টি পরিবারের ১৫৫টি অবৈধভাবে নির্মিত ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছেন। গাজীপুর জেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই উচ্ছেদ অভিযানে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, রাজউক ও বন বিভাগের শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ গ্রহণ করেন। বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৪ ও ২৫ নম্বর সেক্টরের এই এলাকাকে শালকপিচ সমৃদ্ধ ভূমি ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। যা উপজেলার নাগরী ইউনিয়নাধীন কেটুন ও পারার্বতা এলাকার কিছু লোকজন সেই জমি দখল করে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে এখান থেকে চলে যেতে সরকারিভাবে বলা হলেও তারা কোনো তোয়াক্কা করেনি। বিধায় গত ২৪ জুলাই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা-১ এর সিনিয়র সহকারী সচিব জোনায়েদ কবীর সোহাগ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। প্রাকৃতিক বনভূমি রক্ষা ও সরকারি জমি দখলমুক্ত করার অংশ হিসেবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ২২(১) ধারার ক্ষমতাবলে এই অভিযান পরিচালিত অভিযানের লক্ষ্য ছিল পূর্বাচল প্রকল্পের আওতাধীন ১৪৪ একর শালকপিচ সমৃদ্ধ বনভূমির সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ। সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে থেকে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ হওয়া স্থাপনাগুলোর মধ্যে টিনশেড, আধাপাকা ও পাকা স্থাপনাও ছিল। এই অভিযান পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা ও প্রকল্পের জমি পুনরুদ্ধারের দিক দিয়ে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তনিমা আফ্রাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন উর্মী,বিজিবি’র সুবেদার মো. আবুল কালাম আজাদ, র্যাব-১ ওয়ারেন্ট অফিসার মো. ওয়াদুদ, পুলিশ ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান, বিদ্যুৎ বিভাগের সুপারভাইজার মেহেদী হাসান, রাজউক কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান শাহীন প্রমুখ।