মোহাম্মদ মাসুদ
চট্টগ্রাম হাটহাজারীতে কওমী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ “দারুল উলুম মাইনুল ইসলাম মাদ্রাসা” শিক্ষার্থীদের সাথে জুলুসে অংশ নেওয়া সুন্নী মতাদর্শীদের সংঘর্ষ নানা ইস্যুতে বিরোধ। কওমি-সুন্নি আকিদার ভিন্নতা মতাদর্শে বিরোধ দ্বন্দ্ব বহু পূর্ব থেকেই। তবে হঠাৎ করে জুলুস কে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র। উভয়ের শতাধিক আহত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি । জানমালের ঝুঁকিতে দুই পক্ষের কর্তৃপক্ষ নেতাকর্মী ও সমর্থক। উত্তেজনা থমথমে পরিস্থিতি ভয়ে আতঙ্কে এলাকাবাসী। যা সমালোচিত হয় সারা চট্টগ্রাম বিভাগ আশপাশ অঞ্চল দেশবিশ্বে। অবশেষে অভিযোগের আপত্তির ঘন্টা খানেক পরেই সকল বিরোধ সংঘাতের হলো রহস্যজনক নাটকীয় অবসান। একমাত্র আল্লাহর রহমতে প্রশাসনের সক্রিয়তায় উভয় পপক্ষের সমঝতা উদারতায় শর্তসাপেক্ষে হলো সমাধান। হঠাৎ কেন রণক্ষেত্র রক্তরক্তি সংঘর্ষ উভয় পক্ষের শতাধিক আহত। আবারো হঠাৎ-ই বা কেন সমাধান। প্রশ্ন জনমনে।
৭ সেপ্টেম্বর(রবিবার) বিকাল ৩টায় কেউ কাউকেই একবিন্দু ছাড় নয়। বিচার দাবিতে আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে উভয় পক্ষই। ঘটনার দ্বিতীয় দিনেও সুন্নি-কওমি আকিদার একে অপরকে নীতি-নৈতিকতায় নেতিবাচক প্রশ্নে বেআইনিকাণ্ডে চরম আঘাত । সম্পূর্ণ দায় দোষারোপে অভিযোগ আপত্তি পাহাড় । বিষোদগার তীব্র সমালোচনা নিন্দায় আপত্তিকর ও অবর্ণনীয়।
একটি ভয়াবহ হামলা সংঘর্ষের ক্ষত বিক্ষত র্যাশ না কাটাতেই আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে ভাঙচুর হামলা অঘটনে হাটহাজারীতে ১৪৪ ধারা জারি। বিকাল তিনটায় একে অপরের বিরুদ্ধে শত অভিযোগ দিলেও ঘন্টাখানেক পরে রহস্যজনক নাটকীয় সকল দ্বন্দ্বে অভিযোগের হয় সমাপ্তি।
সংবাদ সম্মেলনে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে শতাধিক আহত চিকিৎসাধীন। জানমালের আঘাাত ঝুঁকি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হামলা লুটপাটের শিকার। দাবি করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ।
হামলা কারীদের কথিত নামধারী সুন্নী ও জুলুসের অনুসারী দাবি করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিজ হলে লিখিত বক্তব্যে বলেন.. আহমদ শফী ও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কবরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, /জামিয়ার ছাত্রদের উপর সশস্ত্র হামলা দোকানপাট ভাংচুরে পরিকল্পিত ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
এদিকে কওমিদের সকল অভিযোগের প্রতি উত্তরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোহাম্মদ সেকান্দর মিয়া বলেন, আমরা সুফি সুন্নী অনুসারী নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তাদের আহত দুইজনের অবস্থা আশঙ্কজনক। শতজন আহত হয়েছে বলেও দাবি করেন,
বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের মাদ্রাসা ছাত্রদের গরম পানি নিক্ষেপ, মাদ্রাসা থেকে ইট পাটকেল, ছাত্রদের লেলিয়ে দিয়ে, সন্ত্রাসী জঙ্গি কায়দায় হামলা করেছেন বলে দাবি করেন।
কওমিরা নিজেদের তৌহিদী জনতার নামে নিজেদের জঙ্গি। মৃত মানুষকে পুড়িয়ে ফেলা সহ সরকার পরিবর্তনের পর থেকে তারা একের পর এক নেককারজনক ঘৃণিত কাজ করে যাচ্ছে। পূর্বেও তাদের অন্যায় অপরাধের বিচার হওয়ায় তারা আরো এমন অন্যায় করতে সাহস পেতো না বলে জানান।
অবশেষে হলো নাটকীয সমাধান। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পাহাড় সম। যেন পূর্ব পরিকল্পিত অদৃশ্য কোন শক্তি অপশক্তিদের ষড়যন্ত্রের দ্বারা হয়তো ছিল পরিচালিত নয়তো ভিন্ন উদ্দেশ্য।
তীব্র উত্তেজনা বিরোধিতায় তিনটায় সংবাদ সম্মেলন করলেও চারটার পরে উভয় পক্ষের সম্মতি সমঝোতায় সকল দ্বন্দ্ব সংঘর্ষের হয় অবসান। সকল ক্ষয়ক্ষতি অভিযোগ আপত্তির ইতিবাচক সমাধান।
উপজেলা প্রশাসনের অক্লান্ত পরিশ্রম চেষ্টায় সেনাবাহিনী পুলিশ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা সক্রিয়তায় উভয় পক্ষের উদারতায় অত্যান্ত শান্তিপূর্ণ সকল সুন্দরভাবে সমঝোতা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন। বিস্তারিত দেখতে ভিডিও লিংকে ://www.facebook.com/share/v/16EHpFdQSG/
উল্লেখ্য ‘ জনমনে প্রশ্ন হঠাৎ কেন হল রক্তক্ষয়ী রণক্ষেত্রে সংঘর্ষ ? নাকি এর নেপথ্যে ছিল ভিন্ন কোন তৃতীয় শক্তি যোগসাজশ ? পরিকল্পিত হস্তক্ষেপ ? নাকি দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার অপচক্রে অপশক্তির অপচেষ্টা ? কোন ইস্যুতে ঘটনা কে কেন্দ্র করে আর কোনো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সংঘাত নয়। নিরাপদ জীবন নাগরিক নিরাপত্তায় হোক প্রতিটি মানুষের জীবন। জনমুখী জনবান্ধব প্রশাসন আইনে হোক পরিচালিত অন্তবর্তী কালীন সরকারের সফলতা। জনগণের পূর্ণ নিরাপত্তা স্বাধীনতায় জনগণের ভোটে নির্বাচনে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। সকল সচেতন নাগরিক সচেতন মহলের প্রত্যাশা।
[৮/৯ ৫:৩২ PM] সাংবাদিক মাসুদ ভাই: চন্দনাইশ থানার বিশেষ অভিযানে ২টি বন্দুক দেশীয় অস্ত্র সহ আসামি আটক
মোহাম্মদ মাসুদ
চট্টগ্রামে চন্দনাইশ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২টি বন্দুক দেশীয় অস্ত্র সহ আসামি মো: সাগর (২৮) কে
আটক করে । আটকের সময় ০২টি একনলা বন্দুক, ০১টি দা, ০২টি ছুরি ও গান পাউডার উদ্ধার করা হয়।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকাল ৪টার সময় চন্দনাইশ থানাধীন এলাকায় অভিযানে আসামিসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আটকৃত আসামীর নাম পরিচয় জানা যায় মো: সাগর (২৮), পিতা-আহম্মদ মিয়া, ওলির পাড়া গ্রামের খানবটতল, হাশিমপুর ইউপি, থানা-চন্দনাইশ চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
বিশেষ অভিযানে থানাধীন হাশিমপুর ইউপির খানবটতল ওলির পাড়া সাকিনে বনদস্যু এর বসতঘর তল্লাশি করিয়া ০২টি একনলা বন্দুক, ০১টি দা, ০২টি ছুরি ও গান পাউডার উদ্ধার পূর্বক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি জব্দকৃত অস্ত্র সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।