1. live@www.dainikonlinetalaashporbo21.com : news online : news online
  2. info@www.dainikonlinetalaashporbo21.com : দৈনিক অনলাইন তালাশ পর্ব ২১ :
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
রংপুরের পত্রিকা বিক্রেতার মেয়ে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ লাভ। গাজীপুরে অর্থ আত্মসাধ মামলায় আত্মসমর্পণ করে বিএনপি নেতা ও সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিনজন কারাগারে  পূবাইলে কৃষি জমি ও পুকুর বালি ভরাটের অভিযোগে ২ লাখ টাকা জরিমানা রংপুরে সাত দফা দাবি আদায়ে রংপুরে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কালীগঞ্জে ছদ্মবেশে অপহরণ, নারী গ্রেফতার বিজিবির যৌথ অভিযানে অস্ত্র গোলাবারুদসহ আটক দুই কর্ণফুলীতে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদে রহস্যময় চুরি টাকা অক্ষত, নিয়ে গেল মনিটর ও হার্ডডিস্ক ডাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসুর মত ইসলামী শক্তির নিরব ব্যালট বিপ্লব গড়বে ইনশাআল্লাহ- রুকন সম্মেলনে অধ্যাপক আহসান উল্লাহ  সশস্ত্র সন্ত্রাসী রোকন উদ্দিন বাহিনীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীর প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মোঃ আজাদুল আলম এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

মোঃ রফিকুল ইসলাম,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রফিকুল ইসলাম,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

 

ভূরুঙ্গামারীর রাজনীতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম শেখ মোঃ আজাদুল আলম। জন্ম ১৯৬১ সালে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভূরুঙ্গামারী বহুলগুড়ি গ্রামে। তাঁর বাবা মরহুম মোঃ নঈম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক, চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ভূরুঙ্গামারী থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। মা মরহুমা জোবেদা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। ১৩ ভাইবোনের (৮ ভাই ও ৫ বোন) মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। বাবার চাকরির সুবাদে তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ভূরুঙ্গামারীতে।

 

শিক্ষা জীবন:

তিনি ভূরুঙ্গামারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, ১৯৭৭ সালে ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে মেট্রিকুলেশন, ১৯৮০ সালে ভূরুঙ্গামারী ডিগ্রি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে আইকম সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে কারমাইকেল কলেজ, রংপুর থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

 

পারিবারিক রাজনৈতিক পটভূমি:

শেখ মোঃ আজাদুল আলম ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠেন। তাঁর বাবা মরহুম নঈম উদ্দিন ১৯৬৫ সাল থেকে মুসলিম লীগ ভূরুঙ্গামারী থানা শাখার সভাপতি ছিলেন। তৎকালীন রাজনৈতিক মহলে তাঁর বাবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ডেপুটি স্পিকার আবুল কাশেম, পনির মুক্তার, প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব সাইফুর রহমান, সাবেক ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোঃ মাইদুল ইসলাম মুকুল, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ভোলা এবং সাবেক এমপি তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে। এই রাজনৈতিক ও পারিবারিক আবহই তাঁকে শৈশব থেকে জনসেবামুখী করে তোলে।

 

রাজনৈতিক জীবন:

১৯৭৩ সালে মাত্র অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অবস্থায় তিনি ভূরুঙ্গামারী পাইলট হাই স্কুল শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) এর সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ধীরে ধীরে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠন করলে তাঁর বাবা ভূরুঙ্গামারী থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। একই সময়ে শেখ মোঃ আজাদুল আলম জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। এছাড়া তিনি কলেজ জীবনে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ভূরুঙ্গামারী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া উপজেলা বিএনপির প্রতিটি কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করেন।

 

মামলা ও কারাবন্দি জীবন:

রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি বারবার মামলা ও হয়রানির শিকার হন। রাজনৈতিক কারণে দুটি মামলায় আসামি হন এবং ২০১০ সালে কারাবন্দি হন। দীর্ঘ কয়েক দিন কারাভোগের পর ২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তি পান। কারামুক্তির পর জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সোহেল হোসেন কায়কোবাদ, সাখাওয়াত হোসেন তৌহিদ, আলহাজ্ব ফরিদুল হক শাহিন শিকদার, আক্কাস আলী শিকদার, লিজন বেপারী, সোহেল হোসেন মনা প্রমুখ।

 

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পরিবার:

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বারবার তাঁকে টার্গেট করেছে। এর ফলে তাঁকে দীর্ঘ সময় পরিবার-পরিজন ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। তাঁর ছেলে-মেয়েরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলেও রাজনৈতিক হয়রানির কারণে তারা ভালো কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ পাননি।

 

জীবন অতিবাহিত:

তিনি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জনসেবামূলক কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদারী কাজের সঙ্গে যুক্ত এবং পৈত্রিক সম্পদ ও নিজের জমিতে কৃষি চাষাবাদ করে পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ পরিচালনা করেন। জনসেবার ক্ষেত্রেও তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করে আসছেন।

 

শেখ মোঃ আজাদুল আলম দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিন জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দেশপ্রেমের চেতনাকে লালন করবেন এবং বিএনপির স্বার্থে কাজ করে যাবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© www.dainikonlinetalaashporbo21.com