আবদুল কাদের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি লো
আধ্যাত্মিক রেঁনেসার রূপকার হযরত গাউছুল আজম (রা.) মাননীয় মোর্শেদে আজম (মা.জি.আ.)
প্রত্যেক যুগে মহান আল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বান করার জন্য অসংখ্য নবী-রাসূল ধরার বুকে আগমন করেন। আখেরি নবী হুজুরে আকরাম (দ.) এর আগমনের মাধ্যমে নবুয়্যতের পরিসমাপ্তি ঘটে। যার মাধ্যমে আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন ইসলাম ধরার বুকে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিপূর্ণ হয়। দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়া মানুষদের পুনরায় হেদায়তের পথে ফিরিয়ে আনতে অগণিত আল্লাহর অলিগণ পৃথিবীতে আগমন করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুভাগমন করেন মাহবুবে ছোবহানি, কুতুবে রাব্বানি গাউছুল আজম আব্দুল কাদের জিলানী (রা.)। গাউছিয়তের এ ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে শুভ তশরীফ আনেন খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)। যাঁর প্রতিষ্ঠিত কাগতিয়া দরবারের তাওয়াজ্জুহ্ বিশিষ্ট এই তরিক্বতের মাধ্যমে পথহারা মানুষ ফিরে আসে সিরাতুল মুস্তাকিমের দিকে।
গতকাল (৩ অক্টোবর) শুক্রবার বাদে জুমা হতে চট্টগ্রাম রাউজান কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত ৭২ তম পবিত্র ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মিল্লাতের উদ্দেশ্যে কাগতিয়া দরবার শরীফের মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম এসব কথা বলেন।
চ.বি সিনেট সদস্য ও মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের মহাসচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, চ.বি গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ ও মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী ফয়সাল।
মিলাদ-কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর ফুযুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।