মোহাম্মদ মাসুদ
চাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠ ভোটগ্রহণ নিরপেক্ষ স্বচ্ছতায় কারচুপির অভিযোগ। যা এক প্রকার ষড়যন্ত্রের অংশ। দাবি ছাত্রদল প্রার্থী ও সমর্থক ভোটারদের।
আজ ১৫ অক্টোবর (বুধবার) (চাকসু)-র নির্বাচন সুসম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক সক্রিতায়।অপেক্ষা ফলাফলের। চাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সকাল থেকে শান্তির প্রিয় সুশৃংখলভাবে যথাসময়ে শুরু হয় ভোটগ্রহণ এবং চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে।
চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে। গণনা চলছে। যত সম্ভব দ্রুত ফলাফল জানানো হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এখন চলছে ভোট গণনার প্রস্তুতি। এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হচ্ছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে। এজন্য রয়েছে ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।
সকাল থেকে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট দেন ভোটাররা
সকাল থেকে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট দেন ভোটাররা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি অনুষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষ। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়বেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।
অনেকেই জীবনে প্রথম ভোট দিতে পেরে অনেক আনন্দিত। তবে নির্বাচনের কোন সহিংসতা বড় ধরনের কোন অনিয়ম অসংগতি অভিযোগ আপত্তি জানা যায়নি। সুশৃংখল নিরপেক্ষতায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনে দায়িত্বশীল নির্বাচন কমিশনার সহকারি সহযোগীরা কমিশনার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে ভোট দেওয়ার পরে অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়াকে ভোটে অনিয়ম বিশৃঙ্খলা জাল ভোট হতে পারে বলে আশংঙ্কা আপত্তি তুলেছেন ছাত্রদলের বিপি প্রার্থী।
সর্বশেষ বিএনপির সমর্থক ভোটার ও প্রার্থী অনেকেই অনিয়ম হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এবং অভিযোগ তুলেছেন।
ছাত্র সমন্বয়ক বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বিডিএসএস) যুগ্ম সম্পাদক খান তালাত মাহমুদ রাফি
নির্বাচন কারচুপি অনিয়মে অভিযোগ করে সাংবাদিকদের কে জানিয়েছেন একটি পক্ষকে কর্তৃপক্ষ সুযোগ সুবিধা এবং পক্ষে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন।
দুপুরে আইটি ভবনে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
রাফি বলেন, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।’সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভোট কেন্দ্র ও কক্ষ বাড়ানো হয়নি, যা এক প্রকার ষড়যন্ত্রের অংশ। এই চাকসু গণঅভ্যুত্থান শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার সুযোগ এনে দিয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে দলীয় আধিপত্যের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের পথ এখন খুলেছে।