ডেস্ক রিপোর্ট
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরাস্তায় অবস্থিত লোহাগড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি!
উক্ত ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর কবির ও তার সহযোগী ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রীনতাহানি ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ওই ইউনিটের মহিলা সম্পাদিকা রিয়া শারমিন।
অদ্য ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ সোমবার সাংবাদিক রিয়া শারমিন, বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নড়াইলে মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ১০/৩০ ধারা মোতাবেক এস এম আলমগীর কবির কে প্রধান আসামি করে মোট ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
১/আসামিরা হলেন,
নাড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত্যু এস এম আব্দুর জব্বার এর ছেলে এস এম আলমগীর কবির(৪৫)। ২/ একই উপজেলার চর কালনা গ্রামের আব্বাস উদ্দিন শেখের ছেলে মোঃ আশিকুজ্জামান(২৮) ! ঝিকড়া গ্রামের মৃত্যু শেখ আব্দুর সবুরের ছেলে এনামুল শেখ (৪০)
এবং ৪/ নড়াইল সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ শেখের ছেলে শুকুর শেখ।
উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক রিয়া শারমিন মহামান্য আদালতে তার বক্তব্যে বলেন,
লোহাগড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর কবির একজন প্রতারক, অপহরণকারী, চাঁদাবাজ, চরিত্রহীন প্রকৃতির মানুষ।
সে বিভিন্ন মেয়েদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলাতে অফিস ভাড়া নিয়ে মহিলা স্টাফ নিয়োগ দিয়ে অনৈতিক কার্যক্রম করিয়া আসছে। সাংবাদিকতার কার্ড বানিয়ে দিয়ে তাদের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া তার নেশা ও পেশা। ঘটনার কিছু দিন আগে এস এম আলমগীর কবির, সাংবাদিক রিয়া শারমিনকে লক্ষীপাশা রিপোর্টার্স ইউনিটের অফিসে ডেকে আনে এবং বিভিন্ন ধরনের লোভ-লালসা দিয়ে তার গায়ে হাত দেয় এবং উক্ত ঘটনা কাউকে বল্লে, তার বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে ভয় ভীতি দেখায়। ওই দিন থেকে একই অফিসে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সে দূরত্ব বাড়ায়। তার পর ও সাংবাদিক রিয়া শারমিন মিলে মিশে চলার চেষ্টা করে। গত ১৪ এপ্রিল ২০২৫ সোমবার রাত ৮ টার দিকে একটি জরুরী কাজের জন্য রিপোর্টার্স ইউনিটির অফিসের চেয়ারে বসে কাগজ কলমে কি জানো একটা হিসাব করছিলেন, তখন হঠাৎ এস এম আলমগীর কবির তার চেয়ার থেকে উঠে এসে আবার ও অনৈতিক প্রস্তাব দেয়, তাতেও আপত্তি জানালে অন্য ৩ জন আসামিদের সহযোগিতায় এস এম আলমগীর কবির সাংবাদিক রিয়া শারমিনের মুখ চেপে ধরে তার শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করে। অন্যান্য আসামিরা ও তার গায়ে হাত দিতে গেলে সাংবাদিক রিয়া শারমিনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।
তখন তারা এক পায়ে দুই পায়ে অফিস থেকে শটকে পড়ে। ওই দিন থেকে সাংবাদিক রিয়া শারমিন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এবং একটু স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছায়ে, ২১/৪/২৫ তারিখে ন্যায় বিচারের আশায় মহামান্য আদালতে মামলা দায়ের করেন।