ইমাম হোসেন
বিয়ে হয়েছিল পারিবারিক সম্মতিতে, সম্পর্ক ছিল আত্মীয়তার — খালাতো বোনের সঙ্গে ফুফাতো ভাইয়ের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অমানবিক আচরণ, উপেক্ষা আর নির্যাতনের পালা। এবার মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মেয়েকে ছাড়তে চাচ্ছে ছেলের পরিবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করলেও স্ত্রীকে রেখে আসতেন গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে। মাসে ছয় মাসেও একবার দেখা করতেন না, আর এলেও স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইতেন না।
সম্প্রতি ছেলের পরিবার মেয়ের পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মেয়েকে ‘তালাক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ জানতে চাইলে ছেলের পরিবার জানায়, “মেয়ে সন্তান ধারণে অক্ষম।” এই অভিযোগে হতবাক হয়ে যায় মেয়ের পরিবার। এরপর মেয়েকে দেশের খ্যাতনামা কয়েকটি ক্লিনিকে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়, এবং রিপোর্টে স্পষ্টভাবে দেখা যায় — মেয়ের মধ্যে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যগত জটিলতা বা সন্তান ধারণে অক্ষমতা নেই।
মেয়ের পরিবারের ভাষ্য, “এই অপবাদ শুধু এখনকার অপমান নয়, ভবিষ্যতেও মেয়ের জীবনকে বিপর্যস্ত করতে পারে। আমরা এখন আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং ক্ষতিপূরণ চাইছি এই মানহানির জন্য।”
মেয়েটি আরও জানান, বিয়ের পর তাকে মাঝে মাঝে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত তার স্বামী। “অনেক রাত কেটেছে চোখের জল মুছতে মুছতে। ভেবেছি সব ঠিক হবে। কিন্তু আজ বুঝি, তারা শুধু মুক্তি চাচ্ছে — অপমানজনকভাবে।”
আইনজীবীরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীরা চাইলে মানহানির মামলা, নারী নির্যাতনের মামলা এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করে দেওয়ানি মামলা করতে পারেন।