নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে হাসান আলী (৫৪) নামে এক ওয়ার্কসপ কর্মীকে মারধর করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে টাকা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর থানায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমাস মোল্লা সহ তিন জনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী হাসান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হাসান দীর্ঘদিন যাবৎ ধীরাশ্রম বাজার এলাকায় একটি গ্রীল ওয়ার্কসপে কাজ করতেন। গত ১৪ মে সন্ধ্যায় কাউন্সিলরের নির্দেশে তাকে কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান জনৈক মোবারক হোসেন। পরে হাসান কমিশনার কার্যালয়ে উপস্থিত হলে কাউন্সিলর আলমাস মোল্লা তার সহযোগীযোগী তারেক ও আশরাফকে নিয়ে ভুয়া মাছ চুরির অভিযোগ এনে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে। পরে তার কাছে মাছ বাবদ ৩ লক্ষ টাকা দাবী করতে থাকে। অন্যতায় তাকে হত্যার হুমকি দেন কাউন্সিলর আলমাস মোল্লা। । এসময় তাদের নির্যাতনে ভুক্তভোগী হাসান চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন।
সরজমিন ঘুরে জানা যায়, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আলমাস মোল্লা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, জমি দখল, মানুষকে কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে চালান অমানবিক নির্যাতন।
এই সব ঘটনার বিষয়ে কাউন্সিলর আলমাস মোল্লার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি একজন জনপ্রতিনিধি তাই চোরকে ধরে এনে পিটিয়েছি প্রতিবেদক মারধরের বিষয়ে কাউন্সিলরকে প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিক এর উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফোন কেটে দেন তিনি আরো বলেন আপনারা যদি জনপ্রতিনিধিকে বিচার করতে না দেন তাহলে আপনি এসে বিচার করেন।
গাজীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাফিউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।