বিশেষ প্রতিবেদন
বছর যাবত চোঁখের সামনে হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘন আলোচনা বা প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না কোন মানবাধিকার সংগঠন কে , কিন্তু বছর শেষে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বরে হাজারো মানবাধিকার সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করতে প্রতিযোগিতা শুরু করে ।
আপনি যদি সুদৃষ্টি দিয়ে আপনার চতুর্দিকে আশেপাশে মানুষের দিকে তাকিয়ে দেখুন তাহলে দেখবেন প্রতিদিন প্রতিনিয়তই প্রতিমুহূর্তেই কারো না কারো সাথে হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘন।
প্রাথমিক উদাহরণ হিসেবে যদি আমি বলি তাহলে দেখুন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বাধীনতার জন্য ও সর্বশেষ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় লাভ করে বাংলাদেশ , তখন কিন্তু কাউকে বলে নাই, আপনারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন আমরা আপনাদেরকে, ন্যায্য মূল্যে সস্তায় টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাকের পিছনে রুদ্রের মাঝে সিরিয়াল ধরে দাড়া করে দিয়ে যাব , তারমানে এটাও একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্থানে পড়ে কিনা আপনারা বলবেন ।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর , পিলখানায় ৫২ সেনা হত্যাকাণ্ডের সময় যদি মানবাধিকার সংস্থাগুলি প্রতিবাদ করত তাহলে ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে রাতের আধারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নামে হাজারো নেতাকর্মীর উপরে হামলা পাইতো না সরকার
ও নির্যাতনের প্রতিবাদে যদি মানবাধিকার সংস্থাগুলি এগিয়ে আসতো , তাহলে আমাদের ঐতিহাসিক ২০২৪ সালে হাজারো ছাত্র জনতার বুকে গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালানোর সাহস করতে পারত না সরকার ।
গত ১৭ বছর যাবত বাংলাদেশের বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লায় মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে বিভিন্ন সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল যেই সরকার তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য কয়টি মানবাধিকার সংস্থা এগিয়ে এসেছিল জাতির কাছে আমার প্রশ্ন ।
শুধু এ দিয়েই শেষ নয় এখনো আমাদের দেশে বিভিন্ন শ্রেণি-প্রেশার মানুষ প্রতিনিয়তই প্রতিমুহূর্তেই নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তার জন্যই এখন থেকেই মানবাধিকার সংস্থা গুলির অধিকার বঞ্চিত মানুষদেরকে পাশে নিয়ে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য যদি কাজ করে তাহলে আগামীতে আর কোন , গণহত্যা হেফাজত হত্যা পিলখানায় সেনা হত্যার মতো ঘটনা বাংলাদেশে আর কোন সরকার করার সাহস পাবে না।
এই ডিজিটাল যুগে স্বাধীন বাংলাদেশ টিসিবির পণ্য ট্রাকের পিছনে না দিয়ে মানুষের হাতের নাগালের কাছে এনে দিন, সেইটা প্রত্যেকটা এলাকায় টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড করে , আশেপাশে বাজারে , নির্ধারিত একটি স্টলে বরাদ্দ করে ওইখানে দিলে আমি মনে করি এইভাবে দিলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হবে না টিসিবির ফ্যামিলি কাঠ দাড়ি মানুষ গুলি।