রাজিব আহমেদ
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন সংকর দেওয়ানজীর হাটে জমি-জমা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর ) দুপুরে সংকর দেওয়ানজীর হাটে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মারুফা বেগম (২৬), নারগিস বেগম (৪০)। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর ) বিকালে আহতদের মধ্যে নারগিস বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা করেন।
বর্তমানে নারগিস বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।এ ঘটনায় থানায় মৌখিক ভাবে অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে আসামীরা বাদীর পরিবারকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়,বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে খুরশেদ আলমের পরিবারের সাথে স্থানীয় লিয়াকত আলী লাকির সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। জমিটি নিয়ে সামাজিক ভাবে মিটিং হওয়ার কথা ছিল কিন্তু প্রতিপক্ষ সেই মিটিংয়ে উপস্থিত হয়নি লাকি।
এরইমধ্যে সোমবার দুপুরে খুরশেদ তার বাড়িতে মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন কিন্তু লাকি তার লোকজন নিয়ে বাধা প্রদান করেন এবং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ তার লোকজন নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় এতে গুরুতর আহত হন নারগিস বেগম ও মারুফা বেগম।
খুরশেদ আলম ও তার পরিবারের লোকজন তাদের মা বোনদের রক্ষা করতে বাঁধা দিতে আসলে বিবাদীগণ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় খুরশেদ আলমের স্ত্রী মারুফা বেগমের গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারের এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে এবং রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় শওকত আলী (৫৫)লিয়াকত আলী লাকি (৫২) মমতাজ আলী ভুট্টো (৫০) সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। তারা সবাই সংকর দেওয়ানজীর হাটের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আফতাব উদ্দিন বলেন, জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।