এ.জে. নেজামউদ্দিন
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় উপকূলীয় মুক্ত রোভার স্কাউট গ্রুপের উদ্যোগে পেকুয়া সরকারি মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউটিশনে ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হলো তিনদিনব্যাপী ৪র্থ স্কাউট প্রশিক্ষণ, বার্ষিক তাঁবুবাস ও দীক্ষা অনুষ্ঠান-২০২৫।
এই আয়োজন উপকূলীয় অঞ্চলের রোভার ও স্কাউট সদস্যদের জন্য দক্ষতার উৎকর্ষ ও মানবিক গুণাবলি অর্জনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পেকুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব ডা. মুজিবুর রহমান। প্রধান স্কাউট ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড. জাকির হোসেন হাওলাদার, সহকারী অধ্যাপক, শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ এবং ফেনী জেলা রোভার এডহক কমিটির সদস্য।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র শিক্ষক ও স্কাউট লিডার, পেকুয়া সরকারি মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশন, জনাব উম্মে ছালমা, কম্পিউটার শিক্ষক ও গার্লস ইন স্কাউট লিডার, জনাব এফ. এম. সুমন, সংবাদ ও সংস্কৃতিকর্মী এবং জনাব পারভেজ সরকার পাভেল, সাবেক চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিনিয়র রোভারমেট প্রতিনিধি। ক্যাম্প চীফ ছিলেন স্কাউটার মো. ছাদেকুর রহমান এবং চীফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আসাদুজ্জামান নূর, রোভারমেট।
ক্যাম্পে মোট ১৫০ জন রোভার ও স্কাউট সদস্য অংশগ্রহণ করেন। সফল আয়োজনে নিরলসভাবে কাজ করেন মিসবাহ ও জাহেদ এর নেতৃত্বে ২০ জন সার্ভিস টিম সদস্য। অংশগ্রহণকারীদের ১০টি ইউনিটে ভাগ করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ক্যাম্পে আয়োজিত কার্যক্রমগুলোর মধ্যে ছিল- আত্মনির্ভরশীলতার প্রশিক্ষণ হিসেবে তাঁবুকলা, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নয়নের কিমস গেম,
মানসিক ও শারীরিক দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য চ্যালেঞ্জ এছাড়া প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে সামাজিক সম্প্রীতির উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
ভোরের পাখি কার্যক্রমের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরুতে উজ্জীবিত হওয়া ও বনকলার মাধ্যমে প্রকৃতির সাথে মেলবন্ধন করেন এবং সাহসিকতার পরীক্ষা হিসেবে অদম্য অভিযাত্রা কার্যক্রম যুক্ত করেন।
এই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা শুধু দক্ষ নাগরিক হিসেবেই গড়ে উঠেনি, বরং দেশের যেকোনো দুর্যোগে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসার মানসিকতাও অর্জন করেছে। স্কাউটিংয়ের বিশেষ গুণাবলি একজন শিক্ষার্থীকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চেয়ে সবসময় এক ধাপ এগিয়ে রাখে।
উপকূলীয় মুক্ত রোভার স্কাউট গ্রুপের এই আয়োজন ছিল একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা, যা নতুন প্রজন্মকে আত্মনির্ভরশীল, দায়িত্বশীল ও মানবিক গুণাবলিতে সমৃদ্ধ করবে। এ ধরনের কার্যক্রম দেশের যুবসমাজকে নতুন দিগন্তে এগিয়ে নিয়ে যাবে।