1. live@www.dainikonlinetalaashporbo21.com : news online : news online
  2. info@www.dainikonlinetalaashporbo21.com : দৈনিক অনলাইন তালাশ পর্ব ২১ :
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
জয়পুরহাটে আ”লীগের সাবেক হুইপ, এমপিসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দৈনিক অনলাইন তালাশপর্ব২১. এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সেলিম আসলাম চৌধুরী সোহেল স্যারের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ চন্দনাইশ পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদকের বড় ভাইয়ের সহধর্মিণী ও গনতান্ত্রিক ছাত্রদল ৮নং সাধারণ সম্পাদকের মমতাময়ী আম্মার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ  বান্দরবানে মারাইংতং এ বৌদ্ধ জাদীর মূর্তি ভাংচুর লামায় পুলিশের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র, ডাকাতির সরঞ্জাম, নগদ টাকা উদ্ধার ও মাস্টারমাইন্ড করিম গ্রেফতার ঝগড়ার জেরে ঘুমন্ত বড় ভাইকে ছোট ভাই স্ত্রী সহ মিলে খুন  কালীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ ফারুক উদ্দিন আহমেদের জানাজার নামাজে হাজার হাজার মুসল্লীর ঢল থানচিতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার  কলেজছাত্র সাব্বির হত্যার খুনিদের গ্রেফতারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, থানার সামনে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট সহচর প্রমাণ হওয়ার পরও বহাল তবিয়তেই আছেন এনআরবি ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান কিবরিয়া ও তার স্ত্রী হোসনে আরা 

বাগমারায় অনিশ্চয়তার মুখে কৃষক সুকমারের ছয় বিঘা বোরো জমির সেচ

মোঃ নাসির উদ্দিন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি 
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ নাসির উদ্দিন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী ইউনিয়নের ছোটকয় গ্রামের সুকুমার প্রামানিক নামের এক ব্যক্তির সেচ এলাকায় অতিরিক্ত সেচযন্ত্র বসিয়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভবাশালীদের দখলে থাকায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি নিজের ছয় বিঘা বোরো ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেন না বলে জানা গেছে। বিকল্প ভাবে ক্ষেতে সেচ দেওয়ার চেষ্টা করলেও নানা জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর তদন্ত করলেও সুরাহা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করা হয়।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে ও বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০০০ সালে বড়বিহানালী ইউনিয়নের ছোটকয়া এলাকায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে এর মাধ্যমে বোরো ক্ষেতে সেচ দিয়ে আসছিলেন সুকুমার প্রামানিক। এজন্য কৃষকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিতেন। তবে পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাওয়ার কারণে গত ২০১৫ সালে উপজেলা সেচ কমিটির অনুমতি নিয়ে অগভীর নলকূপ স্থাপন করে বোরো ছাড়াও আমন এবং রবি মৌসুমে জমিতে টাকা ও ধানের বিনিময়ে সেচ দিয়ে আসছিলেন। উপজেলা সেচ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয় সেচ যন্ত্র চালানোর জন্য।

স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী সুনিল বন্ধু চৌধুরী গত ২০২৩ সালে সুকুমার প্রামানিকের সেচযন্ত্রের পাশে গভীর নলকূপ বসিয়ে জমিগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনি সেচ দিয়ে আসছেন। এতে সুকুমার প্রামানিকের পরিচালনা করা নলকূপটি প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েন। এনিয়ে তিনি রাজশাহী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে সুরাহা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।

দপ্তর গুলোর আলাদা তদন্ত কমিটিতে সুকুমার প্রামানিকের অভিযোগের সত্যতা পায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী ও পল্লীবিদ্যুতের মহাব্যবস্থাপককে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এই প্রতিবেদন দেয়। তাঁরা প্রতিবেদন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

এদিকে চলতি মৌসুমে ভুক্তভোগী সুকুমার প্রামাণিক তাঁর নিজস্ব ছয় বিঘা বোরো ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেন না। অভিযোগ করার কারণে সুনিল বন্ধু চৌধুরী ক্ষুব্ধ হয়ে সেচ নালা বন্ধ করে দেন। এর ফলে নিজের জমিতে পানি সেচ দিতে বিপাকে পড়েছেন। বিকল্প হিসেবে ৮০০ ফিট দুরের একটি পুকুর থেকে ফিতা পাইপের মাধ্যমে জমিতে পানি সেচ করছেন। তবে এভাবে সেচ দিয়ে আবাদ করা সম্ভব হবেনা বলে অনেকেই মনে করছেন। একারনে ওই ছয় বিঘা জমি হয়তো অনাবাদী হয়ে পড়বে।

মঙ্গলবার (৪মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে সুকুমার প্রামানিকের জমিতে পুকুর থেকে ফিতা পাইপের মাধ্যমে সেচ দিতে দেখা যায়। সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে সেখানে বোরো চাষ করবেন বলে জানান। তবে শেষ পর্যন্ত সম্ভব হবে কী না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। এছাড়াও সুকুমার প্রামানিকের অগভীর নলকুপের পাশে আরও দুইটি গভীর নলকূপ দেখা যায়। সেখান থেকে ওই এলাকার বোরো ক্ষেতে পানি সেচ দিতে দেখা যায়। মাঝখানে সুকুমার প্রামানিকের ফাঁকা জমি চোখে পড়ে।

এই বিষয়ে সুনিল বন্ধু চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কৃষকদের সুবিধার জন্য তিনি গভীর নলকূপ বসিয়ে সেচ দিচ্ছেন। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক, বরেন্দ্র দপ্তরের বাগমারার সহকারী প্রকৌশলী (অন্যত্র বদলি) শাহাদাত হোসেন ও নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাগমারার আঞ্চলিক মহাব্যবস্থাপক মোস্তফা আমিনুর রাশেদ বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম প্রতিবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© www.dainikonlinetalaashporbo21.com