মোঃ জামশেদুল ইসলাম
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কার্যালয়ে আসছেন না চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা। তাদের অনুপস্থিতিতে ওয়ার্ড কার্যালয়ের সব কাজ কার্যত থমকে আছে। ওয়ারি সনদ, জন্ম ও মৃত্যু সনদসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় ১৪টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সেবা নিশ্চিতে তিন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে চসিক।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সচিবালয় বিভাগের সংস্থাপন শাখার সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনের স্বাক্ষরিত এক অফিসে আদেশে তাদের এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।এতে ১ ও ৫ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমকে ৭, ৯, ১১, ১৩ এবং ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।এছাড়া, ৪ ও ৬ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিন ফেরদৌসীকে ৪, ৬, ১৮ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ড।অন্যদিকে, ১৫, ২১, ২৩, ২৫ এবং ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২ ও ৩ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরীকে।আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জন্ম ও মৃত্যু আইন ২০০৪’ এর ধারা ৪(ক) অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাবৃন্দকে তাদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডসমূহে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরবৃন্দের অনুপস্থিতকালীন সময়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো। পাশাপাশি তারা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড অফিসসমূহের আওতাধীন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের হাজিরা, বেতন-ভাতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি তদারকি করবেন। আরও বলা হয়েছে, এ আদেশ কর্পোরেশনের কাজের স্বার্থে জারি করা হলো এবং তা গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। এর আগে, গত ২৮ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সেবা নিশ্চিত করতে করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডকে ছয় অঞ্চলে বিভক্ত করে এ তিন কর্মকর্তাকে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।