ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি বাসযোগে মাদকদ্রব্য বহন করে ঢাকা হতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক ১০৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানাধীন ফৌজদারহাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর অস্থায়ী একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশি শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি আন্ত:নগর বাসের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা বাসটিকে থামানোর সংকেত দিলে বাসটি থামানোর পর একজন লোক বাস থেকে নেমে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি মোঃ আক্তার হোসেন (২৬), পিতা- মৃত সিদ্দিক আহম্মেদ, সাং- আঃ বারির হাট, থানা- চন্দনাইশ, জেলা- চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে তার নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে দুইটি ট্রাভেল ব্যাগের ভিতর বিশেষ কৌশলে রক্ষিত ২৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ আসামি’কে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদক এর আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।