আমানউল্লাহ আনোয়ার কক্সবাজার
এছাড়া র্যাব মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। এ ধারাবাহিকতায় উখিয়া থানাধীন ধুরুমখালী এলাকা থেকে পোল্ট্রি মুরগী বহনের গাড়িতে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত (৩০হাজার) পিস ইয়াবা উদ্ধার ও মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি পিকআপসহ দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করেছেন র্যাব-১৫। যেমনি দেখতে পাই র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিবিধ অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। এছাড়া র্যাব মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজের নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মাদক ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদক পাচার করছে মর্মে তথ্য পায় র্যাব ১৫। উক্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতকরণ ও মাদক কারবারীদের আইনের আওতায় আনা এবং মাদকের প্রসার রোধে র্যাব-১৫ গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, টেকনাফ হতে উখিয়া টু কক্সবাজার লিংকরোড আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে পোল্ট্রি মুরগী বহনকারী একটি পিকআপ গাড়িতে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কক্সবাজারের দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার( ৫ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টারদিকে র্যাব-১৫ সিপিএসসি ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল, কক্সবাজারের উখিয়া থানাধীন উখিয়া-কক্সবাজার লিংকরোড আঞ্চলিক সড়কের ধুরুমখালী এলাকায় জামাল মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপনপূর্বক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মুরগী বহনকারী একটি সাদা রংয়ের পিকআপ র্যাবের উপস্থিতি টেরপেরে গাড়িটি সন্দেহজনকভাবে কৌশলে দ্রুত চেকপোষ্ট অতিক্রম করার চেষ্টাকালে দুইজন মাদক কারবারীসহ গাড়িটি আটক করা হয়। অতঃপর গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে গাড়িতে ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিদের দেহ ও গাড়িটি তল্লাশী করে পিকআপের কেবিনের পিছনের অংশে ঢালার সাথে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থা থেকে সর্বমোট (৩০ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি সাদা পিকআপ (যার রেজিঃ নং ঢাকা- মেট্রো-ন-১১-৩৬২১) জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীরা হলেন, ১/ মৃত নজির আহম্মদের ছেলে, নুরুল ইসলাম (২৮), মাতা-দিলবাহার, সাং-পশ্চিম লেদা, ০৮নং ওয়ার্ড, হ্নীলা ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার। ২/ ফজল করিমের ছেলে মো. ফারুক (১৯), মাতা-নুর জাহান, সাং-মুচানি পাড়া, ০৯নং ওয়ার্ড, হ্নীলা ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাম-ঠিকানা প্রকাশসহ দীর্ঘদিন যাবত ড্রাইভারী পেশার আড়ালে বর্ণিত গাড়িটি ব্যবহার করে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা পাচার করে আসছে মর্মে জানায়। এছাড়াও উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট পার্শ্ববর্তী দেশ হতে অবৈধভাবে ক্রয় করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে অভিনব পদ্ধতি হিসেবে মুরগী বহনকারী পিকআপের কেবিনের পিছনের অংশে ডালার সাথে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে পাইকারী বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার শহরে আসছিল বলে জানা যায়। উদ্ধারকৃত মাদক ও অন্যান্য আলামতসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা করার জন্য কক্সবাজার উখিয়া থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়।