1. live@www.dainikonlinetalaashporbo21.com : news online : news online
  2. info@www.dainikonlinetalaashporbo21.com : দৈনিক অনলাইন তালাশ পর্ব ২১ :
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
রাজশাহী মোহনপুর উপজেলায় পুকুর খনন নামেম মহাউৎসব এর ফলে কৃষকদের ভুগান্তিতে পড়েছে রাজশাহী মোহনপুর উপজেলায় পুকুর খনন নামেম নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির অভিযানে মাদক সহ রোহিঙ্গা যুবক আটক বান্দরবানে ঝরনায় নিখোঁজ মেহরাবের লাশ চার দিন পর উদ্ধার বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সরঞ্জামসহ ৯ জন আটক বান্দরবানে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ এনসিপি সিলেট জেলার যুগ্ম-সমন্বয়কারী মনোনীত হয়েছেন গোয়াইনঘাটের ফয়সল আহমদ  পার্বত্য জনপদে ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে, থানচিতে মতবিনিময় সভায় বান্দরবান জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর সেনাবাহিনীর সহায়তায় পালিয়ে যাওয়া বম পরিবার ফিরল নিজ গ্রামে  সিএমপি’র ডিবি’র অভিযানে চোর চক্রের মূল হোতাসহ আটক- ৩ 

সবচেয়ে নিরাপদ ও পছন্দের পর্যটন স্পট হচ্ছে লামায়

মোঃমোরশেদ আলম চৌধুরী স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃমোরশেদ আলম চৌধুরী স্টাফ রিপোর্টার

ভ্রমণপিপাসু আর অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের কাছে পাহাড় অন্যতম এক আকর্ষণের নাম।পাহাড় একেক ঋতুতে একেক রূপ ধারণ করে। শীতে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পাহাড় অথবা বর্ষায় ঘন সবুজে ছেয়ে যাওয়া পাহাড়, দুটোরই রয়েছে আলাদা সৌন্দর্য। তাই ভ্রমণপিপাসুরা সুযোগ পেলেই ছুটে যান পাহাড়ে। পাহাড় ঘুরতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

তবে পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে অনেকেই বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হন। এই প্রিয় শখ থেকে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য শুরু থেকেই হতে হবে সতর্ক। নিরাপত্তা সংকটে যারা পাহাড়ে ভ্রমণে যেতে পারেন না। তাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও পছন্দের পর্যটন স্পট হচ্ছে কক্সবাজার এর নিকটতম অরণ্য রাণী লামা। এটি বান্দরবান শহর থেকে ৮৬ কিলোমিটার ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা হতে ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
যেখানে, পাহাড়, মেঘ আর আকাশের মিতালি। চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ। চারদিক থেকে ধেয়ে আসে বিশুদ্ধ হাওয়া। এ যেন আশ্চর্যময় সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি, বাংলাদেশের ভূস্বর্গ বান্দরবানের লামায় নব উদ্যমে গড়ে উঠা, ‘মিরিঞ্জা পর্যটন স্পট’। যেখানে মিশে আছে পাহাড়, মেঘ আর আকাশ! নিরাপত্তা ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থায় একই সাথে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরার সুযোগ।
নিরাপত্তা: বাংলাদেশের কাশ্মীর খ্যাত তিন পার্বত্য জেলা। আঞ্চলিক ও জাতীয় রাজনীতির কারণে প্রায়ই পাহাড় অশান্ত থাকে। তাই অনেক সময় পাহাড়ে পর্যটকদের আগমন বন্ধ রাখেন প্রশাসন। নিরাপত্তা ইস্যুতে গত ১ মাস যখন তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক আসাযাওয়া নিষেধাজ্ঞা ছিল, তখনও লামা উপজেলা ছিল উন্মুক্ত। বিশেষ করে লামা সীমান্তবর্তী কোন উপজেলা না হওয়ায় এখানের পরিবেশ থাকে সবসময় শান্ত। কখনো সাম্প্রদায়িক বা জাতিগত দাঙ্গা হয়নি। এ যেনো সকল ধর্ম ও বর্ণের মিল বন্ধতার চমৎকার উদাহরণ।
দর্শনীয় স্থান: এখানে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৫০টির অধিক পর্যটন, রিসোর্ট ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেমন, মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স, তংথমাং রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট, অনন্য রিসোর্ট, মিরিঞ্জা ভ্যালী, মিরিঞ্জা প্যারাডাইস ট্যুরিজম, মারাইংছা হিল, ভিউ পয়েন্ট কিছুক্ষণ, মিরিঞ্জা সানরাইজ, হিল স্টেশন রিসোর্ট, মিরিঞ্জা ইকো রিসোর্ট, ন্যাচালার পার্ক, ভ্যালী ৯৭, হিল স্কেপ রিসোর্ট, মারাইংচা ওয়াইল্ড রিসোর্ট, সুখিয়া ভ্যালী, রিভার ভিউ, রিভার হিল, চুন্দার বক্স, দুইশত বছরের পুরানো সাবেক বিলছড়ি বৌদ্ধ বিহার, কোয়ান্টাম, নুনারঝিরি-আইম্যারা ঝিরি-নকশাঝিরিসহ অসংখ্য ঝর্ণা, লামা-ফাইতং রোডে ইকো রিসোর্ট ‘প্রংখংডং’, মাতামুহুরী নদী ও লামা খালে নৌকা ভ্রমণ, দুখিয়া-সুখিয়া সহ অসংখ্য পাহাড় ট্রেকিং, লামা খাল, পোপা খাল, বমু খালের মাছকুম, মাষ্টার পাড়া সুরুঙ্গ (গুহা), বীর বাহাদুর কানন, এনআইসি চেয়ারম্যান লেক আজিজনগর।
সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে কক্সবাজার মুখি আরকান সড়কের চকরিয়া বাস টার্মিনাল থেকে বাস, চাঁদের গাড়ি ও রিজার্ভ সিএনজিসহ যে কোন যানবাহনে লামায় গমন। অথবা যারা বান্দরবান সদরে ভ্রমণে আসেন তারা অভ্যন্তরীণ সড়ক দিয়ে লামায় আসতে পারেন।
তুলনামূলক কম খরচে ভ্রমণ: লামা উপজেলা শহর হওয়ায় হোটেল ও আবাসিক স্থান গুলোতে থাকার খরচ তুলনামূলক কম। এখানে সদ্য পর্যটন শিল্পের বিকাশ হওয়ায় এখানকার হোটেল মোটেল ও বিভিন্ন পর্যটন স্পটের মালিকদের ছাড় দেয়ার মানসিকতা অধিক। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে তারা। অনেক জেলা বা উপজেলা হতে অর্ধেকেরও কম বাজেটে লামায় ঘুরে যেতে পারেন। সাবেক মহকুমা ও কয়েকদিনের জেলা হওয়ায় লামা উপজেলা সদর হতে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পর্যটন স্পটের কাছাকাছি গাড়ির যোগাযোগ রয়েছে।
রকমারি খাবার: ৪টি নৃ-গোষ্ঠীসহ বাঙ্গালীদের সুন্দর সহাবস্থানের কারণে লামায় সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। আধুনিক মানের খাবারের বেশ কয়েকটি রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে এখানে। পাশাপাশি ট্রেডিশনাল খাবারের বাহারি আয়োজন তো আছেই। উল্লেখযোগ্য খাবারের স্থানগুলো হলো, তংথমাং রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট, কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট, ফুড হিল, লাড়ং ফুড কর্ণার, হোটেল আমিরাবাদ ইত্যাদি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© www.dainikonlinetalaashporbo21.com